Home বাংলাদেশ রাজনীতি সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ সুবিধার দাবি করতে পারবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ

সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ সুবিধার দাবি করতে পারবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ

Posted by on in বাংলাদেশ 0
1st Image

নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্প্রতি কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, "সমন্বয় পরিচয়ে বা রাজনৈতিক কোনো পরিচয়ে কেউ এই ভূখণ্ডের মধ্যে বিশেষ কোনো সুবিধা দাবি করতে পারবে না। এই ধরনের কোনো দাবি করা একেবারেই অনুচিত।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি কেউ এই পরিচয় ব্যবহার করে আইনবিরোধী বা নীতিবিরোধী কোনো কাজ করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, "আমরা যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছি, তা একেবারে অরাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ভিত্তিক। আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী কাজ চালিয়ে যাবো এবং গণতন্ত্রের পক্ষে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।" হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, যে কোনো দেশে বিদেশি বা দেশীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এছাড়াও তিনি বলেন, "৫ আগস্টের পরেও দেশে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিল এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশের বাহিনীকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। তবে আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, ফ্যাসিবাদী সরকার কোনোভাবেই আর দেশে ফিরতে পারবে না। আমাদের জনগণ কখনোই এমন সরকারকে মেনে নেবে না।"

গণমাধ্যমের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "ফ্যাসিস্ট আওয়ামি লীগ সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেভাবে সংরক্ষণ করেনি। তারা গণমাধ্যমের বাকশক্তি চেপে ধরেছিল। কিন্তু বর্তমানে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং জনগণের সামনে সত্য তথ্য উপস্থাপন করছে। সাংবাদিকরা হলেন জাতির মেরুদণ্ড, তারা জাতির বিবেক।"

তিনি আরও বলেন, "জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের সাহসিকতা অতুলনীয় ছিল। জীবন বাজি রেখে তারা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছেন। তাদের ভূমিকা দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।" তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "যত বড় বিপদই আসুক না কেন, সত্য তুলে ধরতে কোনো ভয় পাবেন না।"

এভাবে হাসনাত আব্দুল্লাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এবং সামাজিক বার্তা দিয়েছেন, যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে জনমত গঠনে সহায়ক হতে পারে।