অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত — এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
রবিবার সকাল ৯টায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের এক পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কোনো দলের হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন না। তারা চলমান গণঅভ্যুত্থানের একটি সামষ্টিক প্রতিনিধি হিসেবেই অন্তর্বর্তী সরকারের অংশ হয়েছেন।”
হাসনাত আরও বলেন, “তাদের উপর দলীয় ট্যাগ লাগানোর অপচেষ্টা আমরা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এরা এনসিপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারা জনগণের কণ্ঠস্বর বহন করছেন এবং সার্বজনীন আন্দোলনের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু গোষ্ঠী উপদেষ্টাদের রাজনৈতিক রঙে রাঙিয়ে আন্দোলনের সার্বজনীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এটি এক ধরনের মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা, যার মাধ্যমে জনমতকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা চলছে।
হাসনাত জানান, উপদেষ্টারা ইতোমধ্যেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিচারব্যবস্থার সংস্কার, নতুন সংবিধান প্রণয়ন, গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচনের আয়োজন, আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনসহ একাধিক মৌলিক সংস্কারের দাবি পেশ করেছেন। একইসাথে তারা দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়েও আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগের দিন, শনিবার সন্ধ্যায় যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, “নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে আমরা লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছি। এর আগেও তাদের অবসানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কারণ এই ব্যক্তিদের উপস্থিতি সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”