Home তথ্যপ্রযুক্তি বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

Posted by on in তথ্যপ্রযুক্তি 0
1st Image

বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে নতুন যুগের সূচনা হলো। বিশ্বখ্যাত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। দেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি স্টারলিংকের এনজিওএসও (Non-Geostationary Orbit Satellite Services) লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন।

গত ২৫শে মার্চ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) "Non-Geostationary Orbit (NGSO) Satellite Services Operator in Bangladesh" শীর্ষক লাইসেন্স গাইডলাইন প্রকাশ করে। এর আওতায় স্টারলিংক প্রয়োজনীয় ফি এবং দলিলপত্রসহ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে।
২১শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিটিআরসির ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগতভাবে স্টারলিংকের পক্ষে লাইসেন্স অনুমোদনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

বিষয় তথ্য
গাইডলাইন প্রকাশের তারিখ ২৫শে মার্চ ২০২৫
কমিশন সভার তারিখ ২১শে এপ্রিল ২০২৫
লাইসেন্স প্রদানকারী সংস্থা বিটিআরসি
লাইসেন্সধারী স্টারলিংক বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ যেখানে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু করতে যাচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল — যেমন হাওর, দ্বীপাঞ্চল, পার্বত্য ও উপকূলীয় এলাকায় — উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে স্টারলিংকের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষ তথ্য: 
- স্টারলিংক ইন্টারনেট লোডশেডিং হলেও চালু থাকবে।
- টাওয়ার ব্যাকআপ না থাকলেও ইন্টারনেট কানেকশন বিঘ্নিত হবে না।
- দুর্গম অঞ্চলে সহজেই ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।

দেশে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেটের সীমিত বিস্তৃতি এবং মানসম্মত নেটওয়ার্কের অভাবের কারণে জরুরি ভিত্তিতে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। এরই প্রেক্ষিতে, প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ক-কে ফোন করে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু করার অনুরোধ জানান। বিডা, বিটিআরসি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।

স্টারলিংক ইন্টারনেটের মূল সুবিধাগুলি হলো:
- বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময়ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ
- মোবাইল টাওয়ার বা ফাইবার নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরতা কমানো
- উচ্চগতির, কম বিলম্বের ইন্টারনেট সুবিধা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে
- টেলিকম ও ব্রডব্যান্ড সেবায় নতুন প্রতিযোগিতার সূচনা

বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জসমূহ যেগুলো স্টারলিংক সমাধান করবে:

বর্তমান চ্যালেঞ্জ স্টারলিংক সমাধান
ফাইবার নেটওয়ার্কের সীমিত বিস্তৃতি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সর্বত্র সংযোগ
লোডশেডিংয়ে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতা ব্যাটারি ও সোলার সাপোর্টেড সংযোগ
মোবাইল টাওয়ারের মাইক্রোওয়েভ সীমাবদ্ধতা সরাসরি স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি
গ্রামীণ এলাকায় দুর্বল নেটওয়ার্ক উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ভাষ্যমতে, স্টারলিংক সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট বাজার আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে। এর ফলে, শহর-গ্রাম নির্বিশেষে দ্রুতগতির, মানসম্পন্ন ডিজিটাল পরিষেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাবে। একই সাথে এটি দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকেও আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।