আন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে—বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই মর্মে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, "বর্তমান আইন অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের সকল কর্মকাণ্ড আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।"
এর আগে শনিবার (১০ মে) রাতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তখনই জানানো হয়েছিল, পরবর্তী কার্যদিবসেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। যেহেতু রবিবার বৌদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি ছিল, তাই সোমবার প্রথম কার্যদিবসে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট এক অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকেই দলটি কার্যত রাজনৈতিক অঙ্গনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ অবস্থায় রয়েছে—কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন, কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন, অনেকে দেশ ছেড়েছেন বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।