Home বাংলাদেশ রাজনীতি এনসিপির সঙ্গে আসিফ ও মাহফুজের কোনো সম্পর্ক নেই

এনসিপির সঙ্গে আসিফ ও মাহফুজের কোনো সম্পর্ক নেই

Posted by on in বাংলাদেশ 0
1st Image

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং মাহফুজ আলম—এনসিপির সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ত নন। তিনি বলেন, তাদের নাম ব্যবহার করে দল সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামটরের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ বলেন, "এই দুই ব্যক্তি গণঅভ্যুত্থানের সময় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তারা রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হলেও এনসিপির কোনো সাংগঠনিক দায়িত্বে নেই। যদি তারা রাজনীতি করতে চান, তবে তা সরকারের বাইরে থেকেই করা উচিত।"

নাহিদ ইসলাম দৃঢ় ভাষায় জানান, “দুই সাবেক ছাত্রনেতাকে ঘিরে এনসিপিকে ঘিরে যে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটি কৌশল।”

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি আহ্বায়ক আরও বলেন, "জুলাইয়ের মধ্যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ, নির্বাচন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কার সংক্রান্ত রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা করা জরুরি। দেশের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সবাইকে দায়িত্বশীলভাবে আলোচনায় বসতে হবে।"

সেনাবাহিনী কর্তৃক ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, "এটি যদি আগেই প্রকাশ হতো, জনমনে বিভ্রান্তি বা শঙ্কা তৈরি হতো না। অতীতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশেষ করে ওয়ান-ইলেভেন সময়কালে আমরা এমন চিত্র দেখেছি। আজও অনেক গুম হওয়া ব্যক্তির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা উদ্বেগজনক।"

নাহিদ ইসলাম বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এখনই যাওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশন আস্থার জায়গা হারিয়েছে। তাদের হয় জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে, না হয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।"

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

উল্লেখ্য, এর আগের বুধবার বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন, তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। তার মতে, “আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে দায়িত্বে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব নয়।”