পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবারও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিন হিসেবে ৭ জুন ধরা হয়েছে, আর সে অনুযায়ী ২১ মে থেকে শুরু হবে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। এবারের পুরো প্রক্রিয়াটিই হবে অনলাইনে এবং শুধুমাত্র আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য ৭ দিনের টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা থাকছে।
সোমবার ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক অংশীজন সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, "২১ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী প্রতিদিন নির্দিষ্ট তারিখের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।"
টিকিট বিক্রির তারিখ ও দিনের তালিকা:
৩১ মে’র টিকিট – ২১ মে
১ জুন – ২২ মে
২ জুন – ২৩ মে
৩ জুন – ২৪ মে
৪ জুন – ২৫ মে
৫ জুন – ২৬ মে
৬ জুন – ২৭ মে
পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের টিকিট দুপুর ২টা থেকে অনলাইনে বিক্রি শুরু হবে।
ঈদযাত্রায় যানজট ও ভোগান্তি কমাতে ঈদের আগে ও পরে মোট ছয়দিন ট্রাক, কভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, "৪, ৫, ৬ জুন এবং ১২, ১৩, ১৪ জুন এই ছয় দিন পণ্যবাহী বড় যানবাহন চলতে পারবে না, তবে গরুবাহী ট্রাক, পচনশীল ও রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।"
ঈদের সময় বিদ্যুৎ চাহিদা তুলনামূলক কম থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাবেন, ফলে এসি এবং বড় বিদ্যুৎগ্রাসী যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমে যাবে। প্রয়োজনে তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করা হবে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি চারটি নতুন কার্গো জ্বালানি আমদানির প্রক্রিয়াও চলছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "গত ঈদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারের প্রস্তুতি আরও ভালোভাবে নেওয়া হচ্ছে। যেহেতু এবার কোরবানির হাট এবং গরু পরিবহনের বিষয়টিও আছে, তাই নগদ টাকার নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে যুক্ত করা হচ্ছে।"
তিনি আরও জানান, যাত্রী, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সমন্বয়ে ঈদের সময় যেকোনো অভিযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ‘কুইক রেসপন্স টিম’।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী শেখ মইনউদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহছানুল হক এবং সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ।