ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে রাজনৈতিক প্রভাবাধীন সময়ে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর প্রবণতা বেশি ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অবৈধ হুন্ডি চক্র দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ব্যাংকের মাধ্যমে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বাড়ছে কারণ ব্যাংকগুলোতে ডলারের বিনিময় মূল্য এখন অধিকতর প্রতিযোগিতামূলক।
যদিও আগে থেকেই ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা ছিল, বর্তমানে হুন্ডির প্রতি নিরুৎসাহ এবং ব্যাংক চ্যানেলের সুবিধা বৃদ্ধির ফলে বৈধ পথে অর্থ পাঠানোই হয়ে উঠেছে প্রবাসীদের পছন্দ।
গত মার্চ মাস, যেটি ঈদের সময় ছিল, সেখানে দেশে রেকর্ড ৩৩০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এ প্রবাহ এপ্রিলে অব্যাহত থেকে পৌঁছায় ২৭৫ কোটি ডলার পর্যন্ত। চলতি মে মাসের প্রথম সাতদিনেই দেশে এসেছে ৬০১ মিলিয়ন ডলার, যা প্রমাণ করে ঈদের পরেও রেমিট্যান্সের প্রবাহ শক্তিশালী রয়েছে।
এই সময়ে, অর্থাৎ জুলাই ২০২৪ থেকে ৭ মে ২০২৫ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে মোট ২৫ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার, যেখানে আগের বছর একই সময়ে এটি ছিল ১৯ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার।
তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই প্রতি মাসে রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
আগস্ট: ২২২.৪১ কোটি ডলার
সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার
অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার
নভেম্বর: ২১৯.৯৯ কোটি ডলার
ডিসেম্বর: ২৬৩.৮৭ কোটি ডলার
জানুয়ারি: ২১৮.৫২ কোটি ডলার
ফেব্রুয়ারি: ২৫২.৭৬ কোটি ডলার
এই ধারাবাহিকতা স্পষ্ট করছে যে, দেশের প্রবাসী আয়ে স্থিতিশীল ও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে।