বিদ্যুতে দেনা ছুয়েছে ৪১ হাজার কোটি টাকা

Posted by on in অর্থনীতি 0
1st Image

দিন যাচ্ছে আর সরকারের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দেনা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সরবরাহ করা বিদ্যুতের দাম নিয়মিত পরিশোধ না করায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানা যায়। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারের এই দেনা ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।  গতকাল সমন্বয় সভায়  চলতি মওসুমের সামনের সময়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে ডলার সংস্থানের নিশ্চয়তা চাইছেন বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা। অন্যথায় সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে- এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তারা। 

এ বিষয়ে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইমরান করিম মানবজমিনকে বলেন, গতকাল আমাদের একটি সমন্বয় সভা হয়েছে। সেখানে ডলার সাপোর্টে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ডলার সহযোগিতা পেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখা সম্ভব হবে।

গতকাল সমন্বয় সভায় বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইমরান করিম মানবজমিনকে বলেন,  বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য জ্বালানি প্রয়োজন।  ডলার সহযোগিতা পেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখা সম্ভব হবে। এজন্য সেখানে ডলার সাপোর্টে সহযোগিতা চান  বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। 

এদিকে পাওয়ার সেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায় যে, ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা প্রায় ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট। গ্রাহক ৪ কোটি ৬৮ লাখ। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির সংকট ও সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।

এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতির বিকাশ ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশংকা করছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। এদিকে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বিদ্যুতের চাহিদা বেশি। এ চাহিদার কথা চিন্তা করেই আমরা জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেসব উপাদান প্রয়োজন যেমন গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও কয়লা, এগুলোর জোগানে ঘাটতি রয়েছে। তিনি আরও বলেন এ সমস্যা কাটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।