তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার মামলার কার্যক্রম বাতিলের রায় বহাল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিলের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। আজ, রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের রায় ও আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত
গত ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গুলশান ও ধানমন্ডি থানায় করা চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করে। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে। তবে আজ চূড়ান্ত শুনানির পর আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।
কী হয়েছিল আদালতে?
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। অন্যদিকে, তারেক রহমানের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং আইনজীবীরা ছিলেন জয়নুল আবেদীন, এম বদরুদ্দোজা, মো. রুহুল কুদ্দুস ও কায়সার কামাল।
আদালতে দুই পক্ষের পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে। এতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় কার্যকর থাকল।
মামলাগুলোর পটভূমি
-
- গুলশান থানার মামলা:
- ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেজা কনস্ট্রাকশনের এমডি আফতাব উদ্দিন চাঁদাবাজির অভিযোগে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
- ৪ মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল একই অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন।
- ৮ মার্চ ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভূঁইয়া গুলশান থানায় দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা করেন।
- ধানমন্ডি থানার মামলা:
- ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল ঠিকাদার মীর জাহির হোসেন চাঁদাবাজির অভিযোগে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
- গুলশান থানার মামলা:
তারেক রহমানের আইনি পদক্ষেপ
২০০৭ ও ২০০৮ সালে চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন তারেক রহমান। প্রাথমিক শুনানিতে রুল জারি করা হয়। চূড়ান্ত শুনানির পর ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলাগুলো বাতিল ঘোষণা করে।
তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, “হাইকোর্টের রায় বাতিলের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল। আজ আপিল বিভাগ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এর ফলে হাইকোর্টের রায় কার্যকর রইল।”
এই আদেশের মাধ্যমে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির চারটি মামলার কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বাতিল করা হলো। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত রাজনীতিক ও আইনজীবীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।