Home বাংলাদেশ রাজনীতি হামিদের দেশত্যাগে ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

হামিদের দেশত্যাগে ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

Posted by on in বাংলাদেশ 0
1st Image

বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ সম্প্রতি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ড গিয়েছেন, যা নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তার দেশত্যাগ এবং তার বিরুদ্ধে থাকা হত্যা চেষ্টা মামলার বিষয়টি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে। বুধবার রাত ৩টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাই এয়ার এর একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। 

সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ (Ex President Abdul Hamid) ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ এ একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে, যার মধ্যে তাকে আসামি করা হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) জানিয়েছে যে, তার বিরুদ্ধে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে দেশত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিষয় বিবরণ
দেশত্যাগের তারিখ বুধবার রাত ৩টা ৫ মিনিট
ফ্লাইট থাই এয়ারওয়েজ, ফ্লাইট নম্বর ‘টিজি-৩৪০’
সঙ্গে যাওয়া সদস্যরা ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার, শ্যালক ডা. আ. ন. ম. নৌশাদ খান

তার পরিবারের সদস্যদের মতে, সাবেক প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং চিকিৎসার জন্য তিনি ব্যাংকক গিয়েছেন। তবে তার দেশত্যাগ নিয়ে দেশে নানা গুঞ্জন এবং প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিশোরগঞ্জে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলও হয়েছে। অনেকেই তার দেশত্যাগের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং তার অবৈধ কার্যক্রমের সাথে সম্পর্ক দেখতে চাইছেন।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলার দায়ভার রয়েছে, যার মধ্যে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তির নামও এসেছে। তবে, এই মামলাটি এখনও সম্পূর্ণ তদন্তাধীন এবং আদালতের সিদ্ধান্তের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে।
 
এছাড়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সাবেক প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের এ ধরনের পদক্ষেপ জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করতে পারে এবং সরকারকে আরও জবাবদিহি করতে হবে।

গত জানুয়ারিতে, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় আব্দুল হামিদকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে, এবং আব্দুল হামিদসহ আরও ১২৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে, পুলিশ জানিয়েছে যে এটি কোনো হত্যামামলা নয়, বরং ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।