প্রযুক্তি-ভিত্তিক উদ্ভাবনী উদ্যোগে নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। দেশটির কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া কমিশন (MCMC) এবার ড্রোন ব্যবহার করে দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী জনগণের কাছে ওষুধ সরবরাহের একটি পাইলট প্রকল্প চালুর ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (১১ মে) এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে MCMC জানায়, এই প্রকল্পটি মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মালয়েশিয়ান রিসার্চ অ্যাক্সিলারেটর ফর টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন (MRANTI) এবং দেশীয় ড্রোন প্রযুক্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করা হবে।
জাতীয় বার্তা সংস্থা বার্নামার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম ধাপে গ্রামীণ চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট জাতীয় তথ্য প্রচার কেন্দ্র (NaDI) পর্যন্ত ওষুধ সরবরাহের কার্যকারিতা যাচাই করা হবে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায় শুরু হবে ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তিকে, যেখানে প্রাথমিকভাবে দুটি NaDI কেন্দ্র যুক্ত থাকবে। সফলতা প্রমাণিত হলে ২০২৬ সালে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫০টি এবং ২০২৭ সালের মধ্যে ৩৯২টি কেন্দ্রে কার্যক্রম বিস্তৃত করা হবে। MCMC জানিয়েছে, এই উদ্যোগ মালয়েশিয়ার সরকারের ‘ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি’ নীতির অংশ, যার লক্ষ্য হলো প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য ও কার্যকর করে তোলা—বিশেষ করে দেশের গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য।
পুত্রজায়া সরকারের এই পরিকল্পনা প্রযুক্তি ও মানবিক সেবার এক অনন্য মিশ্রণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে সময় ও খরচ উভয়ই সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।