বিলুপ্তির হাত থেকে পাখি বাঁচাতে ছাড়া হচ্ছে লাখ লাখ পুরুষ মশা

Posted by on in আন্তর্জাতিক 0
1st Image

দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় উজ্জ্ব প্রাণবন্ত রঙ এবং বৈচিত্রময় আকৃতির চঞ্চুর জন্য পরিচিত পাখি হানিক্রিপার মারা যাচ্ছে ম্যালেরিয়ায়।  ১৮০০ শতকের শুরুতে মশাবাহিত এভিয়ান ম্যালেরিয়ার কারণে একের পর এক হানিক্রিপার পাখির বিলুপ্তি  শুরু হয়েছিল। এখনও ম্যালেরিয়া থেকে এই পাখিদের কোনও প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা নেই। এর মধ্যে বিশেষ কিছু প্রজাতি এক বছরের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে যদি পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।

বিলুপ্ত হতে যাওয়া বিরল পাখি হানিক্রিপার একটিমাত্র মশার কামড়েই মৃত্যু হতে পারে। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশারা এখন মাটি ছেড়ে ক্রমে উঁচু জায়গায় উঠতে শুরু করেছে ফলে হুমকির মুখে পড়ছে গাছে বাসা বাঁধা পাখিরা। বাঁচানোর শেষ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হাওয়াইতে হেলিকপ্টার থেকে লাখ লাখ মশা ছেড়ে দেয়া হচ্ছে দ্বীপপুঞ্জে। একে ‘ইনকমপ্যাটিবল ইনসেক্ট টেকনিক’ ও বলা হয়।

প্রতি সপ্তাহে একটি হেলিকপ্টার ২ লাখ ৫০ হাজার পুরুষ মশাকে একটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়া আলবাচিয়ার সাথে দ্বীপে ছেড়ে দিচ্ছে । এই ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। এই পরিবর্তিত পুরুষ মশাগুলির সঙ্গে স্ত্রী মশাদের সঙ্গম হলে, স্ত্রী মশাদের ডিম থেকে বাচ্চা হওয়া রোধ হয়। ফলে, সামগ্রিকভাবে মশার সংখ্যা কমে। আর এইভাবেই হানিক্রিপার পাখিদের মশার কামড়ের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে হাওয়াই কর্তৃপক্ষ। 

এই পদ্ধতির কার্যকারিতা গ্রীষ্মে আরো স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয় কারণ সেই সময়ে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফলে চীন এবং মেক্সিকোতে মশার সংখ্যা কমাতে প্রায়সময়ই এই কৌশলটি ব্যবহার করতে দেখা যায়।