ভারত যদি পাকিস্তানের পানিপ্রবাহ বন্ধ করতে চায়, তা হবে চরম উন্মত্ততা—এমন মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এমন ভাবনাও কেবল একজন পাগলের পক্ষেই সম্ভব।”
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেহেলগাম হামলার পর সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিলের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, “যেসব নদীর ওপর ভারতের অধিকার রয়েছে, সেগুলোর পানি পাকিস্তান আর পাবে না।” এই মন্তব্যের জবাবে জেনারেল শরীফ বলেন, “পাকিস্তানের ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের জন্য পানি সরবরাহ বন্ধ করা কখনোই সম্ভব নয়, এবং এটি বাস্তবতাবর্জিত কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়।”
তিনি আরও বলেন, “কাশ্মীর থেকে উৎপন্ন ছয়টি নদী নিয়ে মোদির মন্তব্য আন্তর্জাতিক বাস্তবতার পরিপন্থী। জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন অনুযায়ী কাশ্মীর এখনও একটি বিতর্কিত ভূখণ্ড। কাশ্মীরের জনগণ যদি পাকিস্তানে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়, তবে ওই নদীগুলো স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের হবে। তখন পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া হবে, সেটি হবে আমাদের বিষয়।”
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই মুখপাত্র পাকিস্তানিদের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “আপনি যদি পাকিস্তানের সড়ক, শহর ও জনগণ দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন তারা কতটা ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও যোগ করেন, “ভারতের সঙ্গে লড়াই শুধু সীমান্তে নয়, এটি একটি নৈতিক ও সত্য-ভিত্তিক সংগ্রাম। আমাদের ‘মারকা-ই-হাক’ আন্দোলন একটি ন্যায্য দাবির প্রতিফলন।”
জেনারেল শরীফ ভারতকে অভিযুক্ত করে বলেন, “পেহেলগাম হামলার ঘটনার পর ভারত যেভাবে নাটক সাজিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক পরিসরে একটি বানোয়াট কাহিনি ছাড়া কিছুই নয়। ভারত বারবার আগ্রাসন, প্রতারণা ও বিভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যা বিশ্ববাসীর চোখে ধরা পড়েছে।”