Home আন্তর্জাতিক আমেরিকা গুগল ম্যাপে মেক্সিকো উপসাগরের নতুন নাম: ‘গালফ অব আমেরিকা

গুগল ম্যাপে মেক্সিকো উপসাগরের নতুন নাম: ‘গালফ অব আমেরিকা

Posted by on in আন্তর্জাতিক 0
1st Image

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল ম্যাপসে মেক্সিকো উপসাগরের (Gulf of Mexico) নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ (Gulf of America) করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগের পর এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।

কেন পরিবর্তন করা হলো মেক্সিকো উপসাগরের নাম?

গুগল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূগোল বিষয়ক নাম নির্ধারণ ব্যবস্থা (Geographic Names System) আনুষ্ঠানিকভাবে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করায়, গুগল ম্যাপসও মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন করেছে। তবে, মেক্সিকোতে গুগল ম্যাপে আগের নাম ‘গালফ অব মেক্সিকো’ বহাল থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের অন্যান্য দেশেও এখনো ‘গালফ অব মেক্সিকো’ নামই দেখা যাচ্ছে। অ্যাপল ম্যাপে এখনো কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

কীভাবে গুগল ম্যাপে পরিবর্তনটি দেখা যাচ্ছে?

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা গুগল ম্যাপসে 'Gulf of America’ দেখতে পাবেন, তবে অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এটি ‘Gulf of Mexico’ নামেই প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মার্কিন ভূখণ্ডে সংশোধন আনতে চেয়েছিলেন। তার প্রশাসনের নির্দেশনায়, মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ রাখার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়।গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "আমরা সরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ম্যাপে নাম পরিবর্তন করি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই নাম হালনাগাদ করায়, আমাদের প্ল্যাটফর্মেও তা প্রতিফলিত হয়েছে।"

এই পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মেক্সিকোর পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। মার্কিন অভিবাসন ও সীমান্ত নীতির সঙ্গে এই পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে গুগল এই পরিবর্তন করেছে। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র গুগল ম্যাপে হয়েছে। অ্যাপল ম্যাপে এখনো ‘Gulf of Mexico’ নাম রয়েছে। অন্যন্য ডিজিটাল ম্যাপিং প্ল্যাটফর্মেও এই নাম পরিবর্তন করা হয়নি।

গুগল ম্যাপে মেক্সিকো উপসাগরের নতুন নাম ‘গালফ অব আমেরিকা’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে একটি কূটনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ। এই পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, এই পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকবে নাকি ভবিষ্যতে পুনরায় সংশোধন করা হবে।