বাংলাদেশ ও ভারতে আটকৃত জেলেদের বিনিময় আগামী রোববার

Posted by on in বাংলাদেশ 0
1st Image

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আটক জেলে ও নাবিক বিনিময় কার্যক্রম রোববার সম্পন্ন হবে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিকাব লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান।

ভারতের কারাগারে থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশের কারাগারে থাকা ৯৫ জন ভারতীয় জেলের বিনিময় নিয়ে গত ডিসেম্বর থেকে আলোচনা চলছে। এর আগে, বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরার সময় আটক ৯৫ ভারতীয় জেলেকে মুক্তির শর্তে নয়াদিল্লি তাদের কাছে থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে ও নাবিককে ফেরানোর প্রস্তাব দেয়।

বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গত অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে খুলনা অঞ্চলে বেশ কয়েকজন ভারতীয় জেলেকে আটক করে। অপরদিকে, ভারতের দাবি অনুযায়ী, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জলসীমায় কাজ করা দু’টি মাছ ধরার ট্রলার 'এফভি মেঘনা-৫' এবং 'এফভি লায়লা-২' নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানায়। 

বিনিময়ের প্রক্রিয়া এবং আলোচনা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, দুই দেশের মধ্যে আটক জেলে ও নাবিক বিনিময়ের বিষয়টি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে গুরুত্ব পায়। এ বৈঠকে কোস্ট গার্ড, বর্ডার গার্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, জলসীমা অতিক্রম করে এক দেশের নাগরিকদের অন্য দেশের ভূখণ্ডে প্রবেশের ঘটনা নতুন নয়। অতীতে এই ধরনের ঘটনা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে আলোচনার গতি কিছুটা ধীর হয়ে পড়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস জানায়, আটক বাংলাদেশি জেলে ও নাবিকদের ফেরত পাঠানোর প্রথম ধাপে ওড়িশা রাজ্যের পারাদ্বীপ থানায় তাদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। পারাদ্বীপের উপ-পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার জেনা জানান, এই প্রক্রিয়া দুই দেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে গৃহীত হয়েছে।

বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের দাবি, বাংলাদেশের ট্রলারগুলো নিজস্ব জলসীমায় অবস্থান করছিল। তবে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের অভিযোগের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গুরুত্ব

এই বিনিময়ের উদ্যোগ দুই দেশের কূটনৈতিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, জলসীমায় মাছ ধরার সময় প্রটোকল মেনে চলা ও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে দুই দেশই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।