Home প্রবাস সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

Posted by on in প্রবাস 0
1st Image

বাংলাদেশের নাগরিকদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ অনেকটাই সরকারের উপর নির্ভরশীল। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষত কাজের সুযোগের জন্য সরকারি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা অনেক বেশি নিরাপদ এবং দ্রুত। সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই দেশের বাইরে কাজ করতে পারবেন, পড়াশোনা করতে পারবেন, কিংবা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন। তবে, এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া এবং শর্তাবলী রয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা আলোচনা করব, কীভাবে সরকারিভাবে বিদেশে যেতে পারবেন এবং কোন দেশগুলোতে সরকারি প্রক্রিয়ায় যাওয়া সম্ভব।

১. সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার সুবিধা

সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি একটি সুনির্দিষ্ট এবং নিরাপদ প্রক্রিয়া। এতে আপনি প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম থাকেন। সরকার নিজে একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে, যেটির মাধ্যমে বিদেশে ভ্রমণ বা কাজের সুযোগ পাওয়া সম্ভব। সরকারিভাবে যাওয়া মানে অনেক কম খরচ এবং কিছু ক্ষেত্রে সহজ ভিসা প্রক্রিয়া। সরকারি প্রক্রিয়ায় আবেদন করে, বিশেষত Ami Probashi অ্যাপের মতো অনুমোদিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, আপনি সরাসরি এবং নিয়মিত চুক্তির আওতায় বিদেশে কাজ বা ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।

২. সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

বাংলাদেশ সরকার শ্রমিক প্রেরণ এবং কাজের সুযোগ সৃষ্টির জন্য অনেক দেশেই ভিসা এবং কাজের সুযোগ প্রস্তাব করছে। এদের মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, ইউরোপ এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলো। সাধারণত, শ্রমিক, মেধাবী ছাত্রছাত্রী, এবং উচ্চতর শিক্ষার জন্য সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ থাকে। নিচে কিছু দেশ দেওয়া হলো যেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরা সরকারিভাবে যেতে পারেন:

সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার দেশসমূহ:

অঞ্চল দেশসমূহ
মধ্যপ্রাচ্য সৌদি আরব, কাতার, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইন, জর্ডান
এশিয়া মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনাই
ইউরোপ ইতালি, ফিনল্যান্ড, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, সার্বিয়া
উন্নত দেশ জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য
প্রশান্ত মহাসাগর ফিজি

এছাড়া, এই তালিকায় আরও অনেক দেশ রয়েছে যেখানে সরকারিভাবে চাকরি ও অন্যান্য সুবিধার জন্য আবেদন করা যায়। 

৩. সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়া ২০২৫

সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। প্রথমত, আপনাকে উপযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি বা সরকারি অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের বিএমইটি (BMET) এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজের ভিসা এবং শ্রমিক প্রেরণ সম্পর্কিত সমস্ত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। 

চাকরির দক্ষতা: অনেক দেশ তাদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য বিশেষ দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার প্রমাণ চায়।
ভাষাগত যোগ্যতা: ভাষার দক্ষতা যেমন ইংরেজি বা ওই দেশের ভাষা জানা থাকলে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হতে পারে।
শর্তাবলী: দেশের ভিসা শর্ত, নিয়োগ চুক্তি, শ্রমিকের অধিকার—এইসব শর্তগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য, সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি বা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন Ami Probashi অ্যাপ।

৪. সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য খরচ ২০২৫

সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার খরচ অন্য যেকোনো প্রক্রিয়ার তুলনায় অনেক কম। সাধারণত, একটি শ্রমিক ভিসা, কর্মসংস্থান বা উচ্চ শিক্ষা ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য ১,০০,০০০ টাকা থেকে ৩,০০,০০০ টাকার মধ্যে খরচ হতে পারে, যা নির্ভর করে ভিসার ধরন, দেশ, এবং পছন্দের কাজের উপর। 

এছাড়া, Ami Probashi অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করার মাধ্যমে খরচ কমানো যায় এবং এটি প্রতারণা বা অতিরিক্ত খরচের ঝুঁকির বিরুদ্ধে একটি নিরাপদ পথ। ব্যক্তিগতভাবে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে খরচ সাধারণত বেশি হয়ে থাকে এবং অনেক সময়ে মানুষ প্রতারণার শিকার হয়।

৫. সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৫

সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া তিনটি প্রধান বিভাগে ভাগ করা যায়:

  • চাকরির প্রার্থী হিসেবে বিদেশ যাওয়া: আপনি যদি একটি চাকরির জন্য বিদেশ যেতে চান, তাহলে নির্দিষ্ট চাকরি প্রোগ্রাম, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা শ্রমিক ভিসার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
  • শ্রমিক হিসেবে বিদেশ যাওয়া: বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়, যেখানে তারা নির্দিষ্ট কাজের জন্য আবেদন করে সরকারের মাধ্যমে বিদেশ যেতে পারেন।
  • স্কলারশিপ বা ছাত্র হিসেবে বিদেশ যাওয়া: মেধাবী ছাত্ররা সরকারি স্কলারশিপের মাধ্যমে বিদেশে পড়াশোনা করতে পারেন। 

বিদেশ যাওয়ার খরচ সম্পর্কিত তথ্য:

দেশ খরচ (বাংলাদেশি টাকা) বিশেষ সুযোগ
কুয়েত ১,০০,০০০ - ১,৫০,০০০ শ্রমিকদের জন্য সুযোগ
মালয়েশিয়া ১,২০,০০০ - ২,০০,০০০ দক্ষ শ্রমিকদের জন্য
দক্ষিণ কোরিয়া ১,৫০,০০০ - ২,৫০,০০০ উন্নত কাজের সুযোগ
অস্ট্রেলিয়া ২,৫০,০০০ - ৩,০০,০০০ উচ্চ শিক্ষা ও কাজ
সংযুক্ত আরব আমিরাত ১,০০,০০০ - ১,৫০,০০০ সহজ ও দ্রুত ভিসা

 

৬. কীভাবে দালাল ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন?

সরকারি প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে আপনাকে কোনো দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীকে টাকা দিতে হবে না। আপনি সরাসরি সরকারের অনুমোদিত অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। Ami Probashi অ্যাপের মাধ্যমে আপনি চাকরি বা ভিসার প্রক্রিয়া দেখতে এবং সরাসরি আবেদন করতে পারবেন, যা খুবই নিরাপদ এবং দক্ষ।

দালালরা সাধারণত কিছু অতিরিক্ত খরচের দাবি করে এবং অনেক সময় তারা আপনাকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে। সরকারের অনুমোদিত প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যবহার করলে আপনি সহজেই সেই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

৭. ফ্রি বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৫

ফ্রি বিদেশ যাওয়ার জন্য কয়েকটি বিশেষ সুযোগ রয়েছে, যেগুলো মাধ্যমে আপনি কোনো খরচ ছাড়াই বিদেশে যেতে পারেন। নিম্নলিখিত উপায়গুলো ফ্রি বিদেশ যাওয়ার সুযোগ প্রদান করে:

  1. শিক্ষাবৃত্তি (Scholarships): অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্থা বিদেশে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি প্রদান করে।
  2. এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম (Exchange Programs): অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে যেখানে শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ পায়।
  3. ভলান্টিয়ার প্রোগ্রাম (Volunteer Programs): কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা বিনামূল্যে বিদেশে ভলান্টিয়ার করার সুযোগ দেয়।
  4. কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ (Conferences and Workshops): কিছু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স এবং ওয়ার্কশপ অংশগ্রহণকারীদের জন্য ট্র্যাভেল গ্রান্ট প্রদান করে।

৮. উপসংহার

সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজ, সস্তা এবং নিরাপদ পথে বিদেশে কাজ বা পড়াশোনা করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া আপনাকে দালাল বা প্রতারণা থেকে রক্ষা করবে এবং সরকারের নিয়মিত শর্তাবলী অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিন্তে বিদেশে যেতে পারবেন। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া অনেক বেশি সাশ্রয়ী, সহজ এবং ঝামেলামুক্ত। 

যদি আপনি একটি নির্ভরযোগ্য, সুরক্ষিত এবং সরকারীভাবে অনুমোদিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশে যেতে চান, তাহলে Ami Probashi অ্যাপ এবং অন্যান্য সরকারি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন।