পোশাক খাত যেন এখন এক সংকটাপন্ন নতুন উদ্বেগ
ইরান-ইসরাইল চলমান দ্বন্দে বাংলাদেশের জন্য নতুন করে উদ্বেগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে রপ্তানি বাণিজ্য। যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াও এখন হুমকির মুখে ফেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার অস্থিতিশীল হলে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম যা সরাসরি লোডশেডিং এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি বৃদ্ধি করবে, এর ফলে সুয়েজ খাল বন্ধ থাকলে পণ্য পরিবহন ও আমদানি ব্যয় বাড়ার সাথে সাথে পণ্যে রপ্তানির সরবারহের সময়ও বৃদ্ধি পাবে।
এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতারা যদি বিকল্প উৎস খুঁজে তাহলে তা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বিরুপ প্রভাব ফেলবে। এমন কী রয়েছে অর্ডার হারানোর শঙ্কাও। তবে ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ যদি আরও দীর্ঘায়িত হয় তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর বিভিন্ন প্রভাব পড়বে বলে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদের আরেকটি আশঙ্কা বর্তমান ব্যবহৃত হরমুজ নৌপথটি যেখান দিয়ে বৈশ্বিক তেল উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশ পরিবাহিত হয় সেটি যদি জটিলতর সম্মুখীন হয় তাহলে পরিবহনের খরচ ও শিপিংয়ের সময় বেড়ে যেতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে উত্তেজনার ফলে বাংলাদেশ থেকে সময়মতো পণ্য হাতে না পাওয়ার শঙ্কায় ইউরোপের ক্রেতাদের মনে তৈরি হতে পারে। ফলে কাছাকাছি কোনো দেশে রপ্তানি আদেশ দিতে পারে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারকরা।